‘সহাবস্থানের সঠিক উপায়’ ব্যাখ্যা করে চীন-রাশিয়া সম্পর্ক: সিএমজি সম্পাদকীয়
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কৌশলগত দিকনির্দেশনার অধীনে উভয় পক্ষের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ক্রমাগত গভীর, বাস্তব সহযোগিতা প্রসারিত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ ও কার্যকর এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বন্ধুত্ব গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২২ সালে চীন ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে, যা ১০ বছর আগের তুলনায় ১১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন একটানা ১৩ বছর ধরে রাশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে। রাশিয়ার সর্বস্তরের মানুষ এবার প্রেসিডেন্ট সি’র সফরের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের উপ-পরিচালক আলেকজান্ডার রোমানভ মনে করেন যে এই সফর নতুন যুগে রাশিয়া-চীন সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বর্তমানে বিশ্ব শান্তিময় নয়। আধিপত্য বজায় রাখার জন্য কোনো কোনো বড় দেশ তথাকথিত ‘বড় শক্তির প্রতিযোগিতা’র জন্য বিভাজন এবং সংঘর্ষকে তীব্রতর করছে। চীন এবং রাশিয়া উভয়ই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে। তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোটনিরপেক্ষ, অ-সংঘাত, এবং তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য না বানানোর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের বিষয় নয়। চীন-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্যে আরও পরিপক্ব ও দৃঢ় হয়ে উঠেছে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং জয়-জয় সহযোগিতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত নতুন ধরনের সম্পর্কের মডেল স্থাপন করেছে। এটি বড় দেশগুলোর একে অপরের সাথে থাকার সঠিক উপায়কে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছে এবং বর্তমান পরিবর্তনশীল ও বিশৃঙ্খল বিশ্বের জন্য এটি গভীর তাৎপর্য বহন করছে।