‘হিরো’
এ তিনটি গল্পে তুলে ধরা তিন ধরণের সম্পর্ক প্রায়ই প্রত্যেকের সঙ্গে জড়িত এবং যা প্রত্যেকের বড় হওয়ার বিভিন্ন সময়পর্বে জীবনের প্রধান দ্বন্দ্ব হয়ে উঠতে পারে।
মুভি’র প্রথম গল্প মহামারীর সময় উ হান শহরে ঘটে। শেন ইউ দুর্ভাগ্যবশত মহামারিতে সংক্রমিত হয়। বাসায় তার শাশুড়ি তার জন্য কঠোর কোয়ারেন্টিনে ব্যবস্থা নিয়েছেন। চীনা চান্দ্র-পঞ্জিকার নববর্ষের আগের রাতে পরিবারের সদস্যরা একই হাউসে থাকলেও নিজ নিজ রুমে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অনলাইনে নববর্ষ উদযাপন করতে বাধ্য হয়। কয়েক দিন পর শাশুড়িও আক্রান্ত হন। নিজের ছেলে ও নাতি’র সংক্রমণ এড়াতে শাশুড়ি তাদের বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছেন। এভাবে একই বাসায় শুধুমাত্র শাশুড়ি এবং পুত্রবধূ থাকেন। একসাথে কোয়ারেন্টিনের সময় তাদের মধ্যে কি কি গল্প ঘটেছে? বলা যায়, চীনে শাশুড়ি এবং পুত্রবধূর সম্পর্কের মোকাবিলা একটু কঠিন। বিশেষ করে মহামারির সময় রোগে আক্রান্ত হয়ে জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, নানা কষ্টে ভোগতে বাধ্য হয়। শাশুড়ি এবং পুত্রবধূ কিভাবে একে অপরের সঙ্গে আচরণ করেন? চলচ্চিত্রে স্পষ্ট একটি উত্তর দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় গল্প বেইজিংয়ে ঘটে। মহামারি শুরুর আগে সিও লু এবং ছেলেবন্ধু শাও হুয়া আলাদাভাবে বেইজিং এবং উহান শহরে থাকেন। বসন্ত উৎসব উদযাপন করতে সিও লু বেইজিংয়ের বাসায় ফিরে যান এবং ছেলেবন্ধু শাও হুয়া উ হান শহরে রয়ে যান। তারা প্রতিদিন সেলফোনের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শাও হুয়ার সংক্রমণের খবর জানার পর তাকে যত্ন নিতে সিও লু নানা উপায়ে উ হান শহরে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। তবে সেই সময় পরিবহনের সমস্ত পদ্ধতি বন্ধ ছিল। সিও লু ফোরের অসুস্থ ছেলেবন্ধুকে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। শাও হুয়া’র অবস্থা দিনের পর দিন ভয়াবহ হয়ে উঠে এবং অবশেষে সে মারা যায়। মহামারি’র পর সিও লু উ হানে গিয়ে হাসপাতাল থেকে শাও হুয়া’র সেলফোনসহ অবশিষ্টাংশ জিনিসগুলো ফেরত নিয়েছে এবং শাও হুয়া’র বাসায় চলে গিয়েছে। সে মনোযোগ দিয়ে শাও হুয়া’র বাসা পরিষ্কার করে। তারপর সে শাও হুয়া’র সেলফোন খুলে তাদের মিষ্টি স্মৃতিগুলো মনে করতে থাকে।