‘হিরো’
আজকের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে আমি ‘হিরো’ নামের চীনের একটি মুভি’র মাধ্যমে বিগত তিন বছরে মহামারীর বিরুদ্ধে চীনের অর্জিত সাফল্য এবং বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের অবদানের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।
বর্তমানে গোটা চীনে ধীরে ধীরে অতীতের মতো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছে। অনেক চীনা পর্যটকও বিদেশ ভ্রমণ করছেন। এই সবই চীনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মহামারী প্রতিরোধের কারণে সম্ভব হচ্ছে। চীন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। মহামারীর বিরুদ্ধে এই তিন বছরব্যাপী লড়াই সম্পর্কে চীনে তৈরি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক আছে। ‘হিরো ’ সেগুলোর অন্যতম।
মুভিটি মহিলার দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সাধারণ মানুষেরা কিভাবে প্রতিকূলতার মধ্যে ভালবাসা এবং আশা সন্ধান করার নিরাময়ের গল্প তুলে ধরে এবং সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতি অসাধারণ অধ্যবসায়কে প্রতিফলিত করেছে। যখন আপনার সামনে হঠাৎ পরিবর্তন আসে, যখন দম্পতি অথবা স্বামী-স্ত্রী এবং শাশুড়ি ও পুত্রবধূর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে, তখন প্রতিটি বাছাই মানব প্রকৃতি এবং মানুষের শক্তি ও হৃদয়ের উষ্ণতাকে প্রতিফলিত করে।
এ মুভি’র মোট তিনটি স্বাধীন গল্প আছে এবং প্রত্যেক গল্পকে আলাদাভাবে পরিচালনা করেন তিনজন নারী পরিচালক। মুভিতে তারা আমাদের পাশে সংকটের সম্মুখীন পারিবারিক সম্পর্ক এবং সংকটে পড়া নারীদের চেতনার জাগরণসহ নানা সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা করার চেষ্টা করেছেন। মুভি উষ্ণতায় ভরা এবং অর্থ-সম্পন্ন।
পরিচালক লি শাও হোং শাশুড়ি ও পুত্রবধূর সম্পর্ক নিয়ে অন্বেষণ করেছেন। পরিচালক ছেন ছোং তরুণ প্রেমিক-প্রেমিকার গল্পের ওপর ফোকাস করেন এবং চাং এই চিয়া মধ্যবয়সী দম্পতির গল্প তুলে ধরেন।