ছি ছিনের "নির্মম বৃষ্টি, নির্মম তুমি"
ছি ছিন, ১৯৬০ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন গায়ক, সঙ্গীতশিল্পী, গায়িকা ছি ইয়ু-এর ছোট ভাই।
চীনা পপ গানের প্রসঙ্গে এলে ছি ছিনয়ের কথা আসতে বাধ্য। এ জগতে তিনি বিখ্যাত। মূল ভূখণ্ডে পপ সঙ্গীতের উত্থানের ক্ষেত্রে ছি ছিনের প্রভাব আরও বেশি। বিংশ শতাব্দির ৮০-র দশকের মাঝামাঝি সময়ে, চীনের তাইওয়ানের পপ সঙ্গীতে নগরায়ন ও ইউরোপের প্রভাব বাড়তে থাকে। এই ক্রান্তিকালের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিত্ব হলেন কিছুটা বিদ্রোহী ও কিছুটা বিষণ্ণ ছি ছিন, যিনি একটি নতুন ধারার পপ সঙ্গীত তৈরি করেছিলেন। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিক পর্যন্ত, চীনের মূল ভূখণ্ডের পুরুষ গায়কদের মধ্যে ছি ছিনকে ফলো করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক গায়ক ছি ছিন-এর সঙ্গীত অনুকরণ করেছেন এবং গেয়ে বিখ্যাতও হয়েছেন।
২০০১ সালে, তিনি প্রথম মিউজিক বিলবোর্ডে ‘সেঞ্চুরি’ করার জন্য অসাধারণ সঙ্গীত পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০০৩ সালে, "বেইজিং ছুনফেন ফার্স্ট কনসার্ট" অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে, তিনি সিসিটিভি বসন্ত উত্সব গালায় মো ওয়েন ওয়েই-এর সাথে "বাইরের পৃথিবী" গানটি গেয়েছিলেন। ২০১০ সালে, "সুন্দর জগত" অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় এবং "জাং সানের গান"-এর সাথে সপ্তম গানের রাজা গ্লোবাল চায়নিজ মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। একই বছর, তিনি চীনা গান সার্কেল-এর অসামান্য অর্জন পুরস্কার জিতে নেন। ২০১১ সালে, তিনি বেইজিং একাডেমি অফ সায়েন্সেসের গোল্ডেন হর্স ফিল্ম একাডেমির পপ সঙ্গীত বিভাগের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০১৪ সালে, তিনি "দা ভয়েস অফ চায়না সিজন ৩"-এর টিউটর হিসাবে কাজ করেন। ২০১৬ সালে, তিনি সিয়অম ইউনিভার্সিটির এশিয়ান স্টার আর্ট একাডেমির সম্মানসূচক অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৭ সালে, "ছুয়ান ইউয়ে" অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়।