‘বেইজিং, বেইজিং’
সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনবেন ‘তোমার জন্য গান’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি মুক্তা। সবাই ভালো আছেন তো? আশা করছি আপনারা সুস্থ আছেন এবং আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন।
বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন রক কন্ঠশিল্পী ওয়াং ফেং’র কন্ঠে ‘অস্তিত্ব’ শীর্ষক গান। প্রিয় শ্রোতা, এখন যে গানটি আমরা শুনবো, সেটির শিরোনাম ‘বেইজিং, বেইজিং’। বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করায়, এ শহরটির প্রতি ওয়াং ফেংর একটা বিশেষ টান বরাবরই ছিল। তিনি তার প্রিয় শহরকে নিয়ে গান করেছেন। গানের কথাগুলো এমন: যখন আমি এ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটি, আমার মন কখনোই স্থির হতে পারে না/ ইঞ্জিনের শব্দ ও আওয়াজ ছাড়াও আমি হয়তো এ শহরের হৃত্স্পন্দন শুনতে পাই/ আমি এখানে হাসি, এখানে কাঁদি; এখানেই বাঁচি, এখানেই মরি/ আমি এখানে প্রার্থনা করি; এখানেই খুঁজি, এখানেই হারাই/ বেইজিং, বেইজিং, যেদিন আমি মারা যাবো, আশা করি তোমার বুকেই আমার শেষ ঠিকানা হবে/ তোমার বুকে আমি নিজেকে অনুভব করতে পারি, তোমার বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক জিনিস আমি দারুণ ভালোবাসি...
বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন রক কন্ঠশিল্পী ওয়াং ফেং’র কন্ঠে ‘বেইজিং, বেইজিং’ শীর্ষক গান। পরের গানের নাম 'যখন আমি তোমাকে মিস করি'। বোঝাই যাচ্ছে, এটি একটি প্রেমের গান। ওয়াং ফেংয়ের কন্ঠ ভারী হলেও, গানের কথাগুলো শুনলে বোঝা যায় তিনি অনেক নরম মনের মানুষ। কী আছে এই গানে? অনুবাদ করলে কথাগুলো দাঁড়াবে এমন: সেদিন আমি সূর্যাস্ত উপভোগ করার সময় পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল এক জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা দেখেছি/ তখন হঠাতই মনের গল্প চোখের সামনে ভেঁসে ওঠে; আমার চোখের অশ্রু বৃষ্টির মতো ঝড়ে/ কাল রাতে আমি বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আবারও ফিরে গেছি অতীতে; আবারও কেঁদেছি/ কমপক্ষে দশ বছর আমি কাঁদিনি; কমপক্ষে ১০টি গান আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে/ তবে এখন আমি তখনই কাঁদি, যখন তোমাকে মিস করি...