সিনচিয়াং থেকে তিব্বত: এশিয়ার ‘নদীর উত্স’
শুনছেন বেইজিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন রয়েছে আমাদের নতুন সাপ্তাহিক আয়োজন ‘সিনচিয়াং থেকে তিব্বত’। পরিবেশন করছি আমি ওয়াং হাইমান ঊর্মি এবং আলিমুল হক।
প্রিয় শ্রোতা, এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।
তিব্বত ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির কেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে আছে উঁচু ভূখণ্ড, হিমবাহ, নদী, হ্রদ। তিব্বতে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার বা তারচেয়ে বেশি আয়তনের নদীর সংখ্যা ২০টিরও বেশি; আর ২ হাজার বর্গকিলোমিটার বা তারচেয়ে বেশি আয়তনের নদীর সংখ্যা শতাধিক। এখানে আছে বিশ্ববিখ্যাত ইয়ারলুং জাংবো নদী, ‘লাসা’ নদী, ‘নিয়ান ছু’ নদী, ‘নি ইয়াং’ নদী, ‘ফালুংচাংপু’ ও ‘তুওসিউংচাংপু’-এর পাঁচটি শাখা-নদী। আরও আছে, ইয়াংসী নদী এবং ‘লান ছাং’ নদীর উচ্চ অববাহিকার অনেকগুলো উপনদীও রয়েছে। এটি উত্তর এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘নদীর উত্স’। তিব্বতের নদীগুলোর মধ্য দিয়ে বছরে গড়ে পানি প্রবাহিত হয় ৪৪৮.২ বিলিয়ন ঘনমিটার।
ইয়ারলুং জাংবো তিব্বতের বৃহত্তম নদী। এটি তিব্বতের শিগাতসে, লাসা, শানান ও লিনচি শহরের ২৩টি কাউন্টির মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। মেডোগ কাউন্টি অতিক্রমের পর এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। সে অংশটুকু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়েছে। ইয়ারলুং জাংবো নদীর চীনা অংশের মোট দৈর্ঘ্য ২০৯১ কিলোমিটার (চীনের পঞ্চম দীর্ঘতম নদী) এবং চীনে এর মোট আয়তন ২ লাখ ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার (আয়তনের দিক দিয়ে চীনের ষষ্ঠ বৃহত্তম নদী)। এটি বিশ্বে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত নদীও বটে।