"পান্ডার মা" হাউ রং: গত ৩০ বছরে ছেংতু ঘাঁটিতে পান্ডার সংখ্যা ১২ গুণ বেড়েছে
পুরো শরীরটি স্বচ্ছ হালকা গোলাপী রঙের, সূক্ষ্ম লোমসমৃদ্ধ, এবং চোখ একটি লাইনের মতো সরু। মোট ওজন ১০০ গ্রামের কম। বড় পান্ডার নিটোল ও নিষ্পাপ ছবির সাথে একে মেলানো কঠিন।
৫ মার্চ সকালে, চতুর্দশ জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে, "প্রতিনিধি চ্যানেল"-এ ছেংতু বড় পান্ডা প্রজনন রিসার্চ বেসের উপ-পরিচালক হাউ রং একটি বড় পান্ডার বাচ্চার মডেল নিয়ে আসেন এবং মানুষের জ্ঞানের জগতকে খানিকটা সমৃদ্ধ করেন। গত ৩০ বছরে বড় পান্ডা সুরক্ষা এবং গবেষণার প্রক্রিয়ায়, হাউ রং এবং তার সহকর্মীদের প্রচেষ্টায়, পান্ডা বেসে পান্ডাদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ১৯৯৪ সালে ১৯টি থেকে আজ ২৩৭টি হয়েছে। অন্যভাবে বললে, সংখ্যা বেড়েছে ১২ গুণ।
২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বড় পান্ডা ইয়ংমিং, তার ২৮ বছরের জাপানি জীবন শেষ করে, তার যমজ কন্যা ইংবাং ও থাওবাং-এর সাথে ছেংতু বড় পান্ডা প্রজনন গবেষণা ঘাঁটিতে ফিরে আসে। ইংবাং ও থাওবাং এখানে "তাদের পরিবার গঠন করবে এবং সন্তান নেবে", তাদের "পান্ডা জীবনের" একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে।
১৯৯৫ সালের শরত্কাল, বড় পান্ডা "জিয়াওজি" হাউ রং-এর জীবনে প্রবেশ করে, যা তাকে বড় পান্ডা সুরক্ষার গুরুত্ব গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করেছিল। "সেই সময়ে, জিয়াওজির জন্মের পর মানুষ তাকে খাইয়ে দিতো। তার ওজন ছিল মাত্র ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম, তার চোখ খোলা ছিল না, সে দেখতে বা শুনতে পারত না এবং সে নিজে নিজে মলত্যাগও করতে পারত না; সব ক্ষেত্রেই তাঁর মানুষের সাহায্য লাগতো।" হাউ রং বললেন, এমন একটি ছোট্ট শিশুর ভঙ্গুর জীবন, তার হাতের তালুতে শুয়ে আশ্চর্যজনকভাবে কাঁদছে, যেন বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছা তার!