চ্যচিয়াং প্রদেশে অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের নতুন পদক্ষেপ
জুলাই ২৫: অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য সব মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন, এক্ষেত্রে কাউকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া সব অঞ্চলকে এর অধীনে আনতে হবে।
সারা চীনের দিকে তাকালে দেখা যায়, চ্যচিয়াং প্রদেশ তুলনামূলক ধনী। গত বছর মাথাপিছু আয় ছিল ৬০ হাজার ইউয়ানের বেশি। শহরবাসীদের মাথাপিছু আয় টানা ২২ বছর ধরে দেশের সব প্রদেশ ও অঞ্চলের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে এবং গ্রামীণ বাসিন্দাদের মাথাপিছু আয় টানা ৩৮ বছর ধরে দেশের প্রথম স্থানে রয়েছে।
তবে চ্যচিয়াং প্রদেশে ভারসাম্যহীন উন্নয়নের সমস্যাও রয়েছে। চ্যচিয়াং প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ২৬টি জেলা গোটা প্রদেশটির আয়তনের ৪৫ শতাংশ হলেও মাত্র ১০ শতাংশের কম উত্পাদন করেছে। এ ব্যবধানকে চ্যচিয়াং ‘পর্বত-সমুদ্রের’ মতো ব্যবধান বলে মনে করে।
অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য উচ্চ-মানের উন্নয়নের পাশাপাশি উচ্চ-স্তরের ভারসাম্যও প্রয়োজন। পার্বত্য অঞ্চলের ২৬টি জেলার উন্নয়ন করা চ্যচিয়াং প্রদেশের মূল কাজ।
২০ বছর আগে চ্যচিয়াং প্রদেশের তত্কালীন প্রাদেশিক পার্টি কমিটির সম্পাদক, কমরেড সি চিন পিং এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন যে, চ্যচিয়াং প্রদেশের পাহাড় ও সমুদ্রের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সেখানকার অনুন্নত অঞ্চলের উল্লম্ফন উন্নয়ন এগিয়ে নিতে পারে।
কিভাবে পাহাড় ও সমুদ্রের সুবিধা সমন্বয় করা যায়? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চ্যচিয়াংয়ের পাহাড় ও সমুদ্রের সমন্বয় করে কাজ করার অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেছে এবং তার মধ্যে ক্রস-আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম বা ‘ছিটমহল প্ল্যাটফর্ম’ প্রতিনিধিত্বকারী বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
ছিটমহল মানে দুই বা ততোধিক অঞ্চল প্রাদেশিক সীমানা ভঙ্গ করে নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প পার্ক নির্মাণ ও উন্নয়নে সহযোগিতা করা।