রোববারের আলাপন- ৬৫ বছর বয়সী নারীদের সাইকেলে চড়ে ১২টি দেশ ভ্রমণের গল্প
লি তং চু হ্য নান প্রদেশের চেং চৌতে বাস করেন। তিনি আগে টেক্সটাইল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের আগে বাইরে যাওয়ার সুযোগ খুব কম ছিল। তিনি বলেন, ‘যখন বের হতাম তখন পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম, উত্তর কোন দিক- তা বলতে পারতাম না’।
২০০৫ সালে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এ কারণে লি তুং চু ভীষণ বিমর্ষ হয়ে পড়েন। প্রতিদিন মাত্র দু-তিন ঘণ্টা ঘুমাতেন। চিকিত্সক বলেন, তিনি অবসাদগ্রস্ত বা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি যখন মানুষ দেখেন, তখন তাদেরকে তার মনের কষ্ট বলার চেষ্টা করেন।
মাদাম চেং হচ্ছেন লি তং চুর প্রতিবেশী। তিনি স্মরণ করিয়ে বলেন, তখনকালে মাদাম লির মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। এ অবস্থা টানা কয়েক বছর অব্যাহত থাকে।
শরীরের অবস্থা পরিবর্তন করতে মাদাম লি সাইক্লিং করা শুরু করেন। তখন তার ছেলে ১১০০ ইউয়ান খরচ করে তার জন্য একটি বাইক কিনেন।
শুরুতে আত্মীয়-স্বজন তার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করার কারণে, তার সাইক্লিং করে ভ্রমণের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন। কিন্তু তারা দেখেন- সাইক্লিং শুরু করার পর, মাদাম লিয়ের মানসিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। সবাই তাঁর জন্য খুশি। ২০১৪ সালে তিনি তার প্রথম দীর্ঘ দূরত্বে সাইক্লিং ভ্রমণ শুরু করেছেন।
বন্ধুরা, আমরা পরবর্তী অনুষ্ঠানেও মাদাম লি তং চুয়ের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
তৌহিদ ভাই, মাদাম লিয়ের গল্প প্রথমে শুনে আমি তার জন্য কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে পরে তার জন্য অনেক খুশি হয়েছি। তিনি আমাকে অনেক উত্সাহিত করেছেন ও অনুপ্রাণিত করেছেন। আপনি একজন সাইক্লিং-ভক্ত। তার গল্প আপনার কেমন লাগলো।