বাংলা

রসুন চাষে গ্রামীণ সমৃদ্ধি

CMGPublished: 2023-03-17 19:01:13
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের ইয়ুন নান প্রদেশের তোং ছুয়ান অঞ্চলের তা চাই গ্রামের কৃষিক্ষেতে রসুন তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। এসব রসুন গ্রামের আঙ্গিনায় শুকানো, সংগ্রহ, পরিমাপ এবং প্যাকেটে ভরাসহ নানা কাজের পর চীনের সি ছুয়ান, ছোং ছিং, কুই ইয়াং ও লা চৌসহ নানা স্থানে বিক্রি করা হবে।

তা চাই গ্রামে উৎপাদিত রসুন অন্য রসুনের আগে চীনের বাজারে আসে। বেগুনী রঙের বড় রসুনের নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে তোং ছুয়ানের রসুন বাজারে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে।

তোং ছুয়ান অঞ্চলে রসুন চাষের ইতিহাস অনেক পুরোনো। চীনের ছিং সম্রাটের সময় এখানে রসুন চাষ শুরু হয়। গত শতাব্দীর ৭০-এর দশকে তোং ছুয়ান অঞ্চলে খনন শিল্পের উন্নয়ন বাইরের অনেক লোককে আকর্ষণ করেছে। ফলে শাকসবজির চাহিদাও অনেক বেড়েছে। ওই সময় তোং ছুয়ানে কয়েকশ’ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়, যা অঞ্চলটিতে ব্যাপকভাবে রসুন চাষের সূচনা করেছে।

১৯৯১ সালে চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ছেং তু অঞ্চলের ওয়েন চিয়াং অঞ্চল থেকে রসুনের নতুন ব্র্যান্ড সংগ্রহ করে পুরো অঞ্চলে নতুন প্রজাতির রসুন চাষ শুরু করে তোং ছুয়ান অঞ্চল। নতুন প্রজাতির রসুন চাষের পর তোং ছুয়ানের রসুন অল্প কয়েক বছরের মধ্যে দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তা চাই তোং হলো ছুয়ান অঞ্চলের প্রধান রসুন চাষের গ্রাম। এ গ্রামে চাষ করা রসুন দেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে ২ মাস আগে বাজারে আসে।

রসুন চাষি লি মাও সিয়ানের রসুন ক্ষেতে আমাদের সাংবাদিক দেখতে পাচ্ছিলেন যে, গ্রামের অনেক কৃষক তাকে রসুন তুলতে সাহায্য করছেন। দুই মাসের মধ্যে সব রসুন তোলা শেষ হবে। লি মাও সিয়ান বলেন, ‘আমার পরিবারের রসুন চাষের ১০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা চাষের কারণে মাটির উর্বরতা কমে যায়, ফলে উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায়। তোং ছুয়ান অঞ্চলের অর্থকরী ফসল উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রযুক্তিবিদের সাহায্যে এ সমস্যা সমাধান করা হয়। ফলে ২০২১ ও ২০২২ সালে রসুন উৎপাদনের পরিমাণ ও গুণ ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে।’

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn